প্রশ্ন
আমরা যারা বাইরে থাকি তাদের জন্য জাতীয় দিবস সহ আমাদের সংস্কৃতির সাথে জড়িত বিভিন্ন দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এসব দিন আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলার বুকে আর সেই বাংলা তখন সীমান্ত রেখা মুছে এক অবিভক্ত বাংলার রূপ ধারণ করে। ফলে এসব দিনে যখন পঞ্জিকার কারণে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দেয়াল ওঠে তখন বিষন্নতায় ভরে ওঠে মন।
এই যে এখন দুই দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করে দুই বাংলায় সেটা কি ঠিক?
কে বলল দুই দিন জন্মদিন পালনের করে?
কে বলল মানে? ফেসবুক আজ ভরে গেছে কবি বন্দনায়। আগামীকাল আবার হবে।
দেখ আজ যারা পালন করছে তারা পালন করে পঁচিশে বৈশাখ। পঞ্জিকা বদলিয়ে যদি কেউ পঁচিশে বৈশাখ একদিন এগিয়ে দেয় বহু আগে জন্ম নেয়া কারও জন্মদিন তাতে পরিবর্তিত হয় না। এরশাদ রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ থেকে এটা করেছেন। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা করে তিনি যেমন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার কফিনে পেরেক ঠুকেছেন, পঞ্জিকা পরিবর্তন করে তিনি একই ভাবে বাংলার সংস্কৃতির বুকে ছুরি মেরেছেন। দুঃখজনক ব্যাপার হল আমাদের সাংস্কৃতিক সমাজ সেই টোপ বিনা বাক্যে গিলে ফেলেছে।
দুবনা, ০৮ মে ২০২৩
Comments
Post a Comment